ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় এক নাটক জন্ম দিয়েছেন এক নারী ইউপি সদস্য। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নের কোণাডাঙ্গর নদীর পাড় গ্রামে।এই গ্রামের ছাবেদ আলীর তিন বিবাহিত পুত্র মো. আব্দুস সাত্তার,স্বপন মিয়া ও রতন মিয়া তারা তিন জনের নামেই বিগত অর্থ বছরে প্রতিবন্ধীর ভাতা কার্ড হয়েছে। এমনকি তারা ব্যাংক থেকে ইতিমধ্যে টাকা উত্তোলন করেছে। আর এই সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন তাদের সহোদর বোন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নং সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য রোকেয়া খাতুন।।।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় তারা তিন জনেই সুস্থ-সবল কর্মক্ষম ও স্বচ্ছল পরিবারের সদস্য । পৈতৃক সূত্রে যথেষ্ট জমিজমা পেয়েছে যাতে কৃষি কাজ করে ভালোই চলে তাদের সংসার।
এছাড়া তারা খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ১০টাকা কেজি চালের কার্ডও পেয়েছে। নাম প্রকাশে এক অনিচ্ছুক স্থানীয় ব্যাক্তি জানান, “উক্ত ইউপি সদস্য রোকেয়া খাতুন তার ক্ষমতা বলে এই সুস্থ ও স্বচ্ছল ব্যাক্তিকে প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড করিয়েছেন। এছাড়া মেম্বার হিসাবে দায়িত্ব পালনে স্বজনপ্রীতি সহ ব্যাপক অনিয়ম করে যাচ্ছেন।
কি ভাবে এই ভাতা কার্ড করে হয়েছে , “এমন প্রশ্নের জবাবে ইউপি সদস্যের পিতা ছাবেদ আলী বলেন, মানুষ মাত্রই ভূল হয়। এটাও ভুল হয়েছে”। এ ব্যাপারে ভোক্তভোগী স্বপন মিয়ার স্ত্রী হ্যাপী আক্তার জানান, আমার পরিবারের ইউপি সদস্য রোকেয়া খাতুন এই ভাতা কার্ড করে দিয়েছেন।, তবে তারা প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড পাবার যোগ্য কিনা এ বিষয়ে হেপী আক্তার বলেন, আমরা স্বীকার করছি আমাদের ভুল হয়েছে।তবে আমার স্বামী অসুস্থ। সেই হিসাবে পেতে পারে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “এই কার্ডগুলোতে আমার কোন হাত নেই। এটি রোকেয়া খাতুন কিভাবে করিয়েছেন তা আমার জানা নেই।” এ বিষয়ে ভাতা কার্ড প্রাপ্ত স্বপন ও সাত্তার মিয়াকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে ইউপি সদস্য রোকেয়া খাতুনের সাথে সেলফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। মানবাধিকার সংগঠক এনামুল হক বাবুল বলেন, এই সমস্ত দূর্নীতিবাজ জনপ্রতিনিধিদের বরখাস্ত করা উচিত।
নান্দাইল উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. ইনসান আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তারা অফিসের সাথে প্রতারণা করছে। আমি তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম কাউকে পাইনি , বাড়িতে বলে এসেছি কার্ড সাথে নিয়ে অফিসে আসার জন্য। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।